হাওর বার্তাঃপ্রক্টরের পদত্যাগ দাবিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) মূলফটকে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করছে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা।
রবিবার সন্ধ্যায় এ দাবিতে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয় বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আশকারির সঙ্গে তাদের বৈঠক চলছে।
ছাত্রলীগ সূত্র জানায়, অপসারণ হওয়া ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর সময়ে গঠন করা কমিটি এখনো অপূর্ণাঙ্গ। তাদের নির্দেশে ইবি ছাত্রলীগের সভাপতি হন রবিউল ইসলাম পলাশ এবং সাধারণ সম্পাদক হন রাকিবুল ইসলাম রাকিব।
তারা জানান, তবে এ দুই নেতা ক্যাম্পাসে অবস্থান করেন না। তারা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে গেলেও পদবঞ্চিতরা ধাওয়া দেন। দুই নেতার পক্ষে ক্যাম্পাসে কোনো কর্মী সক্রিয় নন।
পদবঞ্চিত ছাত্রলীগের নেতা মিজানুর রহমান লালন ও ফয়সাল সিদ্দিক আরাফাত, বলেন ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশ ঘটেছে। তারা আমাদের হুমকি দিচ্ছে। আমরা প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা চাই।
এর আগে বেলা ১টার দিকে ইবি ছাত্রলীগের কর্মীরা মূলফটকে তালা ঝুলিয়ে প্রক্টরের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় ক্যাম্পাস হতে কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ রুটে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বহনকারী ২টার বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
শনিবার তৃর্তীয় বারের মতো ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান।
দায়িত্ব গ্রহণের পরই ইবি ক্যাম্পাসে অবস্থানরত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা প্রক্টর পরিবর্তনের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে দাবি জানান। সেই দাবি মেনে না নেয়ায় রোববারও ইবি ছাত্রলীগের এ অংশের নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূলফটকে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
তাদের দাবি, ২০১৪ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ছাত্রলীগের ওপর গুলি চালানোর নির্দেশ, শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে ড. মাহবুবর রহমানের বিরুদ্ধে। এ ধরনের ব্যক্তিকে প্রক্টর পদ থেকে না সরালে আমরা আন্দোলন বন্ধ করব না।
এ বিষয়ে প্রক্টর ড. মাহবুবর রহমান বলেন, ‘ মাদক ও বহিরাগত মুক্ত ক্যাম্পাস গড়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় ছাত্রলীগের বিদ্রোহী গ্রুপের নেতাকর্মীরা আমার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছে। তবে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার বিঘ্ন ঘটালে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’